সম্পাদকীয়:
ব্যক্তি জীবন কাছাকাছি পারিপার্শ্বিক পরিবেশ দেশের ভৌগোলিক অবস্থা সার্বিকভাবে যে দেশে বসবাস করছি সে দেশের বাস্তব প্রাকৃতিক পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে জীবন পরিচালনা জীবনকে পরিচালনা করে এসেছিল ৯০ দশকের আগ পর্যন্ত। এরপর থেকে প্রবাসগামী মানুষদের ভীড়ে দেশের আভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাপক উৎকর্ষতায় রূপ নেয় ফলে বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্র কৃষকের কৃষি কাজের ব্যাপক দুর্দিন চলছে। এর প্রেক্ষাপটে বর্তমানে বাংলাদেশে জনগণের কৃষি উৎপাদন ক্ষেত্রে ব্যাপক শ্রম সংকট বিদ্যমান রয়েছে। ফলে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যাপক ব্যাহত হচ্ছে। এই বিষয়টি ভালো করে বিশ্লেষণ করলে বেরিয়ে আসবে ইজি বাইকের কারণে বেশিরভাগ আঞ্চলিক বেকার যুবসমাজ কৃষি ক্ষেত্র থেকে সরে পড়ছে অলস কর্মক্ষেত্র ইজিবাইকের দিকে। এই বিষয় নিয়ে ২২ ডিসেম্বর দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে ইজিবাইক নগর জীবনে নাভিশ্বাস উঠিয়েছে। এই ইজিবাইক ব্যবস্থাপনা সমগ্র বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনাকে অচল করে দিচ্ছে প্রতিটি ইজিবাইক এক মাসে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ শত টাকার বিদ্যুৎ খরচ করে। এই টাকায় আবাসিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় দশটি ঘর সহজে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারত। এই ইজিবাইক পরিচালনা করে যারা তারা দৈনন্দিন জীবনের কর্ম ক্ষেত্রে একেবারে অলস হয়ে পড়ে। তাহলে ফল দাঁড়াচ্ছে সহজে ইজিবাইক পরিচালনা করা যায় এবং সংগ্রহ করা যায় কারণবশত এ সকল লোক বেশিরভাগ কৃষি ক্ষেত্রে উপার্জন ক্ষমতা কাজ করতে পারত। যেখানে ইজিবাইক যে পরিমাণ প্রয়োজন তার কয়েক গুণ ইজিবাইক শহরের রাস্তাঘাটে গ্রামগঞ্জের অলিগলির পথে প্রতিনিয়ত চলছে। ইজিবাইকের ব্যাপকতায় উৎপাদন মুখী কর্মক্ষেত্রে শ্রমবাজার ব্যাপক সংকট বিদ্যমান রয়েছে। ফলে দেশের উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় প্রাকৃতিক ক্ষেত্রকে অচল করে দেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদি ইজিবাইক বাজারকে নিয়ন্ত্রিত নিয়ম-নীতি পরিসংখ্যান হিসেবে পরিচালনার বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে এত পরিমান ইজিবাইক পরিচালিত হবে না। বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি থেকে দেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। আর যারা ইজিবাইক পরিচালনা থেকে বিরত থাকবে এদের অনেক লোক কৃষিতে সহযোগী হিসেবে কাজের সন্ধান করবে এবং প্রাকৃতিক ক্ষেত্র থেকে উৎপাদিত কৃষি ক্ষেত্রকে আরো তরান্বিত করবে। বিশেষ করে শহরকেন্দ্রিক আঞ্চলিক কেন্দ্রিক সড়কগুলোতে যানবাহনের জনগণের চলাচলের ব্যাপক ব্যাঘাত কমে আসবে। এমনটাই ধারণা করছে এমনকি বিশ্বাস করছে দেশের সচেতন মহল।