সম্পাদকীয়
চোরা কারবারিদের খপ্পরে পড়ে দেশ দেশের জনগণ থেতলে যাচ্ছে দেশের জনগণের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দেশের জনগণ কেন জানি বিপদগমিতার দিকে প্রতিনিয়ত চলে যাচ্ছে। যা কোনভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। ভোক্তা অধিকার জনগণের চিরাচরিত অধিকার। অধিকার কোন কালে কোন শাসকের সময় সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেনি। জনগণের সেবার জন্য সেবা করতে এসে জনগণকে কতটুকু সেবা করেছে সেটা শাসক মাত্রই জানে। ভোক্তারা তো পুরোটাই জানে। ভোক্তা সাধারণ জনগণের সংখ্যায় বেশি যেকোনো দেশের সরকার বিশেষ করে বাংলাদেশে ভোক্তাদের প্রতি অবিচার করা হলে তা শুধু প্রশাসনিক নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলেও বাস্তবিক পক্ষে জনগণের সেবা কতটুকু হয় সেটা জনগণও বোঝে সরকারও বুঝে। মাঝখানে যারা ব্যবসায়ী শ্রেণি রয়েছে তাদের নিরব অত্যাচারে সরকারও কোণঠাসা হয়। ভোক্তাদেরও কষ্টের জীবন পার করতে হয়। ২১ অক্টোবর দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে ওজনে তেল কম দেয়ায় পাম্প মালিকের জরিমান। কেন জানি এ সকল অভিযানের স্থায়িত্বতা অতি নগণ্য। ফলে জনগণকে যেই লাউ সেই কদু অবস্থায় থাকতে হয়। এখন এই বিষয়গুলো কেন প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ থাকা সত্তে¡ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত হচ্ছে না বা অভিযানের ফল দীর্ঘমেয়াদী হয় না সেটাও উদঘাটন করা উচিত। এ সকল ব্যবসায়ীরা কেন সরকারের বিশেষ পদক্ষেপ নেয়ার পরেও ভোগ্য পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আইন মানতে পারছে না। কারণ এ সকল পণ্য বিক্রেতারা তো সকলে আর পণ্য উৎপাদন করে না যদি তারা পণ্য উৎপাদন না করে শুধু বিক্রির কাজে থাকে তাহলে এদের পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে যে প্রতিক‚লতা সেটা সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। যদি সেটা সমাধানের চেষ্টা করা যায় সকল ক্ষেত্রে এমনকি তার তথ্য অভিযান পরিচালনাকারী ব্যক্তিদের হাতে থাকে তাহলে এদের উপর অভিযান চালিয়ে সুফল আসতে পারে। অভিযান পরিচালনাকারীর ব্যক্তিদের কাছে যে পণ্যের মূল্য তালিকা থাকবে ব্যবসায়ীদের হাতেও ক্রয় মূল্যের তালিকা থাকে যদি দুটো মিলে যায় তাহলে তো আর তাদের উপর জরিমানা করার প্রশ্নে আসে না। অভিযান পরিচালনাকারী ব্যক্তিদের তথ্য এবং পণ্য বিক্রেতাদের ক্রয়ের তথ্য যদি ব্যতিক্রম থাকে তাহলে ব্যবসায়িক উপরস্তরের ব্যবসায়ীদের প্রশাসনের আওতায় আনতে হবে। যদি এ সকল তথ্য পর্যালোচনা করা না হয় তাহলে ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠা করা কখনো সম্ভব হবে না। শুধুই অভিযান নামে মাত্র পরিচালনা করা হবে। এটা কোন সভ্য দেশের নীতি হতে পারে না।