এইচ.এম নিজাম:
চাঁদপুর থেকে অপহরণের ১২ দিন পর গতকাল রোববার যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে হান্নান মৃধা (৩৭) নামে এক ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বেনাপোল সীমান্তের স্থলবন্দরের বাইপাস সড়ক থেকে জুলন্ত মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে শ্বশুড় বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন হান্নান।
নিহত হান্নান চাঁদপুর পৌর ১৫নং ওয়ার্ডের বিষ্ণুদী এলাকার আবুল হোসেন মৃধার ছেলে। বাড়ির পাশেই একটি মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন তিনি। এদিকে রোববার বিকেলে হান্নান মৃধা হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী। চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ বিক্ষোভ করে তারা। এসময় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করে পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১ মার্চ হান্নান তার শ্বশুর বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে যান। সেখান থেকে সে নিখোঁজ হয়। পরদিন ২ মার্চ চাঁদপুর মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার চাচাতো ভাই সজিব মৃধা ও তার স্ত্রী আয়েশা বেগম। এরপর ৭ মার্চ রাত ৩টায় একটি নাম্বার থেকে হান্নানের মুক্তির জন্য পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এসময় অপহরণকারীরা তাদের যশোর জেলার বেনাপোলে যেতে বলে।
টাকা জোগাড় করতে দেরি হওয়ায় অপহরণকারীরা ৫০ হাজার টাকা দিতে বলে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় ১১ মার্চ তাদের দেয়া বিকাশ নাম্বারের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়। টাকা পাঠানোর পর থেকেই তাদের নাম্বার বন্ধ করে দেয়। সর্বশেষ ১৩ মার্চ রোববার বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় হান্নানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুর রশিদ জানান, হান্নান তার শ্বশুর বাড়ি বিষ্ণুপুর থেকে ফিরার পথে নিখোঁজ হন। এ বিষয়ে থানায় দুটি নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে তার পরিবার।
তিনি জানান, তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার থেকে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পাশাপাশি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার স্ত্রী ও বন্ধুর সাথে দু-একবার কথা হয় বলে আমরা জেনেছি। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে।