মোঃ রাছেল:
কচুয়ায় অপহরণের ৫দিন পর বেলাল নামের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একইসাথে অপহরণকারী রিপন (৩২) ও তার পিতা আলাউদ্দিন (৫৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১০ বছর বয়সী বেলাল কচুয়ার রহিমানগর এনামিয়া লতিফিয়া আবাসিক মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী।
অপহরণকারীদের মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর জন্য দেয়া বিকাশের নাম্বারের সূত্র ধরে নারয়াণগঞ্জের আড়াই হাজার থানার ল²ীপুরা এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে শিশুটিকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও শিশু বেলালের পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের উচিতগাবা গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে ডলি বেগমের ছেলে বেলাল স্থানীয় মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। মা ডলি বেগম প্রবাসে থাকায় শিশু বেলাল নানা আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে ওই মাদ্রাসায় আবাসিক ছাত্র হিসেবে লেখাপড়া করে। গত শুক্রবার দুপুরের পর থেকে বেলালকে অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে সোমবার তার নানা আবুল হোসেন কচুয়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী দায়ের করেন।
নিখোঁজের পর অপরিচিত মোবাইলের মাধ্যমে অপহরণকারী শিশু বেলালের নানার পরিবারের কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি কচুয়া থানায় অবহিত করলে থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপহরণকারীর অবস্থান নিশ্চিত করে। পরে মঙ্গলবার রাতে কচুয়া থানার এসআই তরুন কান্তি, এএসআই রামু রায় আড়াইহাজার থানা পুলিশের সহযোগিতায় উক্ত থানাধীন ল²ীপুরা গ্রাম এলাকা থেকে শিশু বেলালকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী রিপন ও তার পিতা আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে।
কচুয়া থানার ওসি মোঃ মহিউদ্দিন জানান, অভিযোগ পাওয়ার একদিন পর শিশু বেলালকে মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর জন্য দেয়া বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মুক্তিপণের কোন টাকা লেনদেন হয়নি। ঘটনার সাথে জড়িত দু’জনকে আটক করা হয়েছে এবং বুধবার তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু দমন আইনে মামলা দায়ের করে অপহরণকারী রিপন ও আলাউদ্দিনকে চাঁদপুরের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।