সম্পাদকীয়
বাংলাদেশের মানুষ জীবন জীবিকার স্বার্থে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছে। পেশাজীবীদের পেশার কাজে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে দিক নির্দেশনা মানতে গিয়ে তাদের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে তাদেরকে সরকার তাৎক্ষণিক সংকটের সময় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার প্রস্তাব করে থাকে। সেজন্য সরকার সেসব প্রস্তাবের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের সরঞ্জাম প্রদান করে থাকে। এর মধ্যে ১৩ ই মে দৈনিক শপথ পত্রিকায় প্রকাশ জহিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল বিক্রির অভিযোগ। সেবা করবে জনগণের সেবার পিছনে লুকিয়ে রয়েছে অন্য কিছু। তার কারণে বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার এবং সিটি কর্পোরেশন পৌরসভা সংসদ নির্বাচন এমনকি মসজিদের কমিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এখন রয়ে গেছে সেবার নামে এক ধরনের অনৈতিক চিন্তা ধারা। যা এমন সেবকদের মাঠে ময়দানে নির্বাচিত হওয়ার জন্য যা বলা হতো এর কোনোটাই বাস্তবে সমাজসেবার উদ্দেশ্য নয়। শুধু জহিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান কেন বেশিরভাগ নির্বাচিত নির্বাচন খেলায় যারা গোল দিয়ে না দিয়ে ট্রফি নিয়ে বসে আছে এদের ভিতরটা বাস্তবেই সেবার নামে ঠাকুরআমি ছাড়া কিছুই নয়। তা না হলে জেলেদের চাল বিক্রির অভিযোগ কেন জেলেদের অধিকার হরণ করার বলতে বিক্রি করার চিন্তা ভাবনা হত না। শুধু জেলে নয় অনেক পেশার মানুষের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে এই সকল অপরাজনৈতিক হোতারা। তাদের দৌরাত্ম্যে সামগ্রিক জনগোষ্ঠীর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে আছে। এরা যদি বাস্তবসম্মতভাবে নির্বাচন খেলায় সঠিক খেলাটা খেলে নির্বাচিত হত তাহলে এদের বিবেকের এবং নৈতিকতার বিস্তার ঘটতো। কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি। আর কখনো হবে কিনা সেটাও দুর্মূল্যের বাজারে অনিশ্চয়তার খাতায় হয়তোবা লিখিত হয়ে আছে। মানবিকতা নৈতিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যারা এ সকল দায়িত্বপূর্ণ পদে বহাল থাকে তাদের দ্বারা বাস্তবে কখনই জনসেবা নিশ্চিত হবে না। সচেতন মহলের মাঝে এসকল খবর গণমাধ্যমে পড়ে শুনে বিস্মিত হওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই বর্তমান প্রেক্ষাপটে। তাই বলবো অধিকার বিক্রির পেছনের ইতিহাস দেখেশুনে সমাজসেবকদের জন্য উচিত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।