সম্পাদকীয়:
তামান্না বেগম, বিয়ে করে আলমকে। বিয়ের পর থেকেই তামান্নার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেনে না নেওয়ায় তারা ভাড়া বাসায় থাকেন। তাদের ঘরে দুই সন্তান।
তৃতীয় সন্তান প্রসবের সময় ঘনিয়ে এলে স্বামী টাকা-পয়সা জোগাড়ের জন্য বেরিয়ে যান। এর মধ্যে তামান্না বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে তার মা ও স্বজনরা মিলে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ওই দিনই সিজার অপারেশনের মাধ্যমে একটি ফুটফুটে সন্তান জন্ম নেয়। হাসপাতালে অপারেশনের পরপরই টাকা চাওয়া হয়। তামান্না গরিব মানুষ এত টাকা দেবে কোথা থেকে? কেউ একজন বিনামূল্যে রক্ত দিলেও হাসপাতালে রক্তের বিল ধরা হয়েছে দুই হাজার টাকা।
অপারেশন ও ওষুধপত্রসহ বিল প্রায় ৪০হাজার টাকা দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতো টাকা দিতে না পেরে হাসপাতালের এক কর্মকর্তার পরামর্শে ৫০ হাজার টাকায় নাড়ী ছেঁড়া সন্তান বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। অমানবিকতার এক চরম দৃষ্টান্ত দেখলো মানুষ। এমন মনুষ্যত্বহীন কর্মকাÐে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। হাসপাতালের এমন কর্মকাÐ মেনে নেয়ার মতো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এসকল সেক্টরে যথেষ্ট তদারকি না থাকায় সেবাগ্রহীতাদের সাথে যাচ্ছেতাই আচরন করেন কর্তৃপক্ষ। দুর্ঘটনা ঘটার পরই তদন্ত হয় এখানে, রয়েছে নিয়মিত তদারকির অভাব। আর এজন্যই বেশিরভাগ ছোটখাটো অনিয়ম থেকে যায় অন্তরালে। অথচ এসব অনিয়মের বলি হতে হয় সাধারণ মানুষকে। তাই অনিয়মের যাঁতাকলে পিষ্ট হওয়ার আগেই কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চান সাধারণ মানুষ।